বর্তমান সময়ের মানুষের জীবন বীমা নিয়ে সচেতন অনেক। তাই লাইফ ইন্সুরেন্স কি এবং কত প্রকার এ বিষয়গুলো নিয়ে জানার জন্য অনেকেই গুগলে সার্চ করেন। কিন্তু প্রয়োজনের সঠিক তথ্য গুলো পান না যার কারণে অনেকেই এ প্লাটফর্ম থেকে যাচ্ছে এবং সঠিক তথ্যগুলো জানতে পারছেন না। তাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি হবে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সহায়ক। কারণ এখানে উক্ত লাইফ ইন্সুরেন্স এবং জীবন বিভাগ সম্পর্কে সম্পূর্ণ গাইডলাইন দেওয়া হচ্ছে যাতে করে একজন মানুষ জীবন বীমা করার পূর্বে কি কি বিষয় জানা দরকার সকল বিষয়গুলো জানতে সক্ষম হন।

মানুষের জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। আর মানুষের জীবন খুব সংক্ষিপ্ত কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত জীবনের প্রয়োজন হয় নানা ধরনের বিষয়ে। আর মানুষ মাত্রই সামাজিক তানি এবং তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এভাবে তাদের সন্তান হয় এবং পরবর্তী প্রজন্ম সৃষ্টি হয়ে যায়। মানুষের বিভিন্ন কারণে প্রয়োজনে এবং অপ্রয়োজনেও অনেকে অনেক সম্পত্তি তৈরি করেন। তবে এখানে মানুষের চাহিদা অসিমিত অর্থাৎ মানুষ এর চাহিদা কখনো ‌সীমিত নয়। যার কারণে তাদের দীর্ঘ সময় পর্যন্ত প্রয়োজন হয়ে থাকেন নানা ধরনের অর্থ সম্পদ কিংবা স্থায়ী। বিশেষ করে মানুষ স্থায়ী সম্পদ করতে পছন্দ করেন কিংবা কোন এক সময় যেন তাদের স্থায়ী সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় সে আশায় নানা ধরনের কাজ করে থাকে। মানুষের কঠোর পরিশ্রমের অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে তাদের দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা মিটিয়ে ভবিষ্যতে ভালো ভাবে জীবন যাপনের জন্য অর্থ সঞ্চয় করে থাকেন। তাদের এই অর্থ সঞ্চয় এর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে তারা বিপদের মুহূর্তে যেন ওই অর্থ দিয়ে চলতে পারেন এবং সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে সক্ষম হতে পারেন। ঠিক তেমনভাবে তারা এই অর্থগুলো সঞ্চয় করে থাকেন বিভিন্ন উপায়ে। কিন্তু যারা নিজের ঘরে অর্থ জমা রাখে সে ক্ষেত্রে সেখান থেকে কোন অতিরিক্ত কোন কিছু পায় না। যখন একজন ব্যক্তি দীর্ঘ পাঁচ বছর পর্যন্ত তার ঘরের মধ্যে এক লক্ষ টাকা জমা রাখল কিন্তু পাঁচ বছর পরে সেই এক লক্ষ টাকায় পাবে অতিরিক্ত কোন অর্থ পাবে না যতদিন পর্যন্ত সেটি কোন ব্যবসা বা কোন কাজে না লাগে মুনাফা অর্জন করছে না।

লাইফ ইন্সুরেন্স কি

এখন হচ্ছে আমরা মূল আলোচনায় চলে যাচ্ছি। লাইফ ইন্সুরেন্স হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনাকে নির্দিষ্ট সময় পরপর নির্দিষ্ট অর্থ জমা দিতে হবে। আর নির্দিষ্ট অর্থ জমা দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের পর আপনাকে অর্থাৎ আপনার পরিবারকে নির্দিষ্ট পরিমাণের লাভ সহ অর্থ প্রদান করবে। তবে যার নামে এই লাইফ ইন্সুরেন্স করা হয় সে যদি মারা যায় কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলেই তখন এটি দেওয়া হবে। তবে এটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হয়ে থাকে। আর এই সময় অতিক্রম করলেই সে ওই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাবেন। তবে এটি এক এক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে একে টাকার অংক নির্ভর করে থাকে।

কি কি কারণে জীবন বীমা করা উচিত?

★ হঠাৎ মৃত্যুবরণ করলে পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে।
★ অসুস্থ হলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে বা ব্যবস্থাপনার জন্য।
★ মৃত্যুর পর সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ কিংবা পড়াশোনা খরচ চালাতে।
★ ভবিষ্যতের সঞ্চয় হিসেবে।

প্রত্যেক মানুষের উচিত এই লাইফ ইন্সুরেন্স করা। কারণ তারা যদি Life Insurance করে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ভবিষ্যতে সঞ্চয় হিসেবে ভালো পরিমাণ অর্থ পাবেন যা দিয়ে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম ভালোভাবেই জীবন যাপন করতে পারেন। আর এই লাইফ ইন্সুরেন্সের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনার যখন থেকে এ বিষয়ে ধারণা হয়েছে তখন থেকেই করা। তাহলে আপনার সঞ্চয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং ভালো পরিমাণ অর্থ পেয়ে যাবেন। আশা করা যাচ্ছে আপনারা জানতে পেরেছেন লাইফ ইন্সুরেন্স কি এ বিষয়ে সম্পর্কে। আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ আরো কিছু তথ্য দেব।

জীবন বীমা হালাল নাকি হারাম

আমরা বেশ কয়েকটি তথ্য থেকে জানতে পেরেছি এটিই হালাল নয় হারাম। কারণ এটি ঝুঁকে পর্যায়ে প্রায় দ্বিগুণ লাভ দেওয়া হয়ে থাকে। আর এই লাভের প্রত্যাশা কিসের উপর হয়ে থাকে তা অনিশ্চিত। আর একই কথা হচ্ছে এটা অনেকটা সুদের মতো কাজ করে থাকে। তাই অনেকেই এটিকে হারাম বলেছেন। আর এ বিষয়টি অনেক সময় ধোকার পর্যায়ে চলে যায় যার কারণে সাধারণ মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

এখানে আরেকটি বিষয় বেশি লক্ষণীয় যে আমাদের দেশে সরকারি জীবন বীমা থাকলেও বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলের পর্যায়ে রয়েছে বিভিন্ন লাইসেন্স কোম্পানি। এ সকল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি অধিকাংশই হচ্ছে ভুয়া ভাব প্রতারণা করে থাকে। গ্রাহকের অর্থ নিয়ে তারা চলে যান এবং গ্রাহকদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার কারণে অনেকেই এখন এই লাইফ ইন্সুরেন্স করতে ভয় পান। এ সকল বিষয় থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে যাতে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আপনারা অর্থ না হারিয়ে ফেলেন। অবশ্যই আপনারা সকল বিষয় বিবেচনা করে তারপরে লাইফ ইন্সুরেন্স করবেন। কেননা আপনার মূল্যবান অর্থ অন্যদের হাতে তুলে দিচ্ছেন এবং যদি বিপদের সময় না পান তাহলে আপনি স্বাভাবিকের চাইতে এখানে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবেন। প্রত্যেক বছর এই জীবন বীমার ফাঁদে পড়ে সারা বাংলাদেশ প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ প্রতারিত হয়ে থাকে কয়েক কোটি অর্থের।

আশা করা যাচ্ছে লাইফ ইন্সুরেন্স কি এবং কিভাবে করতে হয় সহ যাবতীয় তথ্যগুলো আপনারা জানতে পেরেছেন। আপনারা যারা এই লাইফ ইন্সুরেন্স সম্পর্কে আরো খুঁটিনাটি বিষয় জানতে চান আমাদের ওয়েবসাইট দেখুন কিভাবে মেসেজ করে নাম্বার জানার চেষ্টা করব।