প্রবাসীরা যারা বিদেশ থেকে কয়টি মোবাইল আনা যায় জানতে আগ্রহী বা ইচ্ছুক। তাদের জন্য অবশ্যই এই আর্টিকেলটি অত্যন্ত সহায়ক হবে। কারণ প্রবাসীদের প্রথম প্রশ্নই থাকে যে বিদেশ থেকে কয়েকটি মোবাইল সঙ্গে নেওয়া যায় সে বিষয়ে সম্পর্কে। ছাত্রবাসীদের কথা বিবেচনা করে আমরা আমাদের আজকের এই বর্তমান প্রতিবেদনটি নিয়ে হাজির হওয়া হয়েছে। যাতে করে একজন প্রবাসী সকল বিষয়গুলো জানতে পারেন মোবাইল বিষয়ক নিয়ে।

সারা বাংলাদেশ থেকে প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ প্রবাসে বসবাস করেন। আর প্রতিনিয়ত প্রায় কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশ থেকে বিদেশে গমন করেন এবং বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসে থাকেন। এই আসা-যাওয়ার মধ্যে বেশিরভাগ কারণ হচ্ছে ভ্রমণ এবং কর্মসংস্থানের জন্য। তবে তারা যে কারণে যাক না কেন তারা ফিরে আসার সময় নানা ধরনের উপহার সামগ্রী নিয়ে আসে তাদের প্রিয় মানুষদের জন্য। হতে পারে সেটি কসমেটিক, মোবাইল সামগ্রী কিংবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স পণ্যসহ নানা ধরনের বিষয়গুলো। অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে আমরা পরবর্তীতে সময় থাকবো কিন্তু আমরা জানবো এই মোবাইলের বিষয় সম্পর্কে। কারণ যাদের আত্মীয়-স্বজন বিদেশ রয়েছে কিংবা প্রিয়জন প্রবাসে বসবাস করে। তাদের কাছ থেকে প্রথম চাওয়া হচ্ছে স্মার্টফোন কিংবা মোবাইল ডিভাইস। কারণ দৈনন্দিন জীবনে এটি প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার হয়ে থাকে। বাংলাদেশের যে সকল মোবাইল কিনতে পাওয়া যায় এগুলো সাধারণত বাংলাদেশে তৈরি কিংবা চায়না তৈরি থাকে। কিন্তু বাইরের দেশে তৈরি মোবাইলগুলো থাকে ওই দেশের কিংবা জাপানি জার্মানি সহ বিভিন্ন কোম্পানির। আর এই কারণে মোবাইলগুলো শক্তিশালী হয়ে থাকি এবং ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায়। তাই অনেকেই এই মোবাইল ফোন গুলো তাদের প্রিয় মানুষদের জন্য নিয়ে থাকেন।

প্রিয় মানুষদের জন্য নেওয়ার পাশাপাশি অনেক প্রবাসীর কাছে বন্ধুবান্ধব কেনার জন্য রিকোয়েস্ট করেন। কারণ এ সকল মোবাইল অত্যন্ত ভালো হয়ে থাকে এবং পারফরম্যান্সের দিক থেকে এগিয়ে থাকে সাধারণ মোবাইল থেকে। কিন্তু প্রবাসীদের মনে একটি প্রশ্ন থাকে তারা মোবাইল কতটি পাঠাতে পারবে কিংবা অন্যান্য অন্যের মতো এই মোবাইলও নেওয়া সম্ভব কিনা। এ সকল প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়েই আমাদের এই প্রতিবেদন।

বিদেশ থেকে কয়টি মোবাইল আনা যায়

যদি আপনি প্রবাসে থাকেন কিংবা দেশের বাইরে থেকে স্মার্ট ফোন কিংবা যেকোনো ধরনের ফোন আনতে চান। সেক্ষেত্রে আপনার সঙ্গে একটি ফোন সম্পূর্ণ ফ্রিতে নিয়ে আসতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের সঙ্গে পার্সোনাল ফোন কি সম্পূর্ণ ফিতে আনা যায়। আর একই সঙ্গে আপনারা আরো অতিরিক্ত দুটি স্মার্ট ফোন নিয়ে আসতে পারবেন। তবে এই দুইটি স্মার্টফোন আনার জন্য আপনাদেরকে অতিরিক্ত টেক্স প্রদান করতে হবে। আবার এই ট্যাক্সের পরিমাণ নির্দিষ্ট ভাবে দেওয়া রয়েছে। কারণ নির্দিষ্ট দামের উপরে অর্থাৎ মধ্যে এক দিতে হয় আবার নির্দিষ্ট দামের উপরে গেলে আরেকরকম ট্যাক্স দিতে হয়। এখন আমরা এই ট্যাক্সের পরিমাণ জেনে নেই নিচে থেকে।

যদি মোবাইলের দাম ৩০০০০ টাকার মধ্যে হয় সেক্ষেত্রে ট্যাক্স দিতে হবে ৫ হাজার টাকা। যদি আবার মোবাইলের দাম ৩০ হাজার থেকে বেশি এবং ৬০ হাজার টাকার কম হয় সে ক্ষেত্রে এখানে ট্যাক্স দিতে হবে ১০,০০০ টাকা। যদি কোন মোবাইলের দাম ৬০ হাজার টাকার বেশি হয় সে ক্ষেত্রে ট্যাক্স দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তাহলেই তারা কেবলমাত্র এই মোবাইল ফোন নিয়ে আসতে পারবে। তবে এই টাকার পরিমাণ কোন বা বেশি হতে পারে বিভিন্ন সময়ে। প্রতি বছর এর নিয়ম পরিবর্তন হতে থাকে। তাই আনার পূর্বে অবশ্যই আপনারা এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন।

এখানে আপনারা দেখবেন বিদেশ থেকে কয়টি মোবাইল আনা যায় সে বিষয় নিয়ে। বিদেশ থেকে আপনারা কোন কোন পণ্য খুব সহজে নিয়ে আনতে পারবেন সর্বোচ্চ কত কেজি পর্যন্ত সঙ্গে আনতে পারবেন এ সকল নিয়েও আলোচনা করা হবে অন্য একটি প্রতিবেদনে। আমাদের এই প্রতিবেদন গুলো যদি আপনারা নিজেরা পড়েন এবং এর থেকে যদি ধারনা নেন তাহলে প্রবাসদের জন্য অনেক সুবিধা হবে। কারণ তারা অল্প খরচে এবং কম সময়ের মধ্যে বেশি বেশি ভালো প্রোডাক্ট গুলো আনতে পারবেন। অনেকেই আছেন যেগুলো বেশি জানতে হয় সেগুলো বেশি প্রোডাক্ট এনে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। আমরা কিছু তালিকা দিব যে সকল পণ্যের উপরে কম ট্যাক্স দিতে হয় সে বিষয়ে নিয়ে। তার জন্য আমাদের সাথে থাকুন এবং পরবর্তী আর্টিকেলগুলো অনুসরণ করুন।