আমেরিকার স্কলারশিপ খুঁজে পাওয়ার নিয়ম

- আপডেট সময় : ০৬:৫৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
- / ২২ বার পড়া হয়েছে
পড়াশোনা করার জন্য দেশে বাইরে যেতে চান। তাদের অবশ্যই একটি পছন্দের দেশ হচ্ছে আমেরিকা। তাই অনেকেই খুঁজে থাকেন আমেরিকায় স্কলারশিপ খুঁজে পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এজন্য অনেকে আবার গুগলে সার্চ করে থাকেন How to find USA scholarship সম্পর্কে। আর আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই স্কলারশিপ খুঁজে পাবেন কিভাবে এবং আবেদন করা সহ কি কি ডকুমেন্টের প্রয়োজন হতে পারে সে সকল সম্ভাব্য বিষয়গুলোই উপস্থাপন করা হবে। অর্থাৎ এই আর্টিকেলে স্কলারশিপ খুঁজে পাওয়া থেকে শুরু করে আবেদন পর্যন্ত সকল নিয়মকানুন উল্লেখ করা হয়।
বর্তমানে শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়। আর এই শিক্ষার্থীদের শিক্ষার জন্য ব্যাপক চেষ্টা করে থাকেন। পূর্বে তো শিক্ষার হার কম ছিল এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য মানুষ কম শিক্ষা গ্রহণ করত। কিন্তু দেখা যায় এখন প্রায় ৬০ শতাংশের অধিক শিক্ষার্থীরা উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করার চেষ্টা করেন এবং শিক্ষা গ্রহণ করে থাকেন। আর পূবের তুলনায় এখন প্রায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের বাইরে পড়াশোনা করার জন্য। অর্থাৎ নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জ্ঞান বৃদ্ধি করার জন্যই তারা দেশের বাইরে যান উন্নত দেশগুলোতে এবং উন্নত কলেজগুলোতে পড়াশোনা করার জন্য। আর আগে তুলনায় এখন এই ভ্রমণগুলো অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। খুব কম জটিলতা এবং অল্প সময়ের মধ্যে দেশের বাইরে চলে যাওয়া সম্ভব হয় এবং সেখানে ভর্তি হতে পারেন। বিশেষ করে ইন্টারনেট আসার পর থেকে এই বিষয়টির ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।
যেখানে আগে দালাল বা কিছু অসাধু এজেন্সির মাধ্যমে যেতে হলে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ের যদি আপনি এই প্রতিবেদন পড়ে যেতে চান কিংবা নিজে নিজে চেষ্টা করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি খুব কম খরচে যেতে পারবেন। শুধুমাত্র জানা এবং জ্ঞানের জন্যই এখানে ভ্রমণ সে তো আপনি যদি পূর্বে থেকে এই কলেজ সম্পর্কে জেনে যান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার অনেক সহজ হবে। আসুন এখন আমরা নিচে থেকে জানানোর চেষ্টা করি কিভাবে এই স্কলারশিপ গুলো খুঁজে পাওয়া যায় এবং আবেদন করার পর কি কি নিয়ম অনুসরণ করতে হয় এ বিষয় সম্পর্কে।
আমেরিকার স্কলারশিপ খুঁজে পাওয়ার নিয়ম
যারা বিভিন্ন দেশে পড়াশোনা করতে চায় তাদের অধিকাংশই অর্থাৎ প্রায় ৮০ শতাংশের সাথে বেশি ইচ্ছে থাকে আমেরিকায় পড়াশোনা করার। কারণ এখানে আন্ডার গ্রাজুয়েট কিংবা গ্রেজুয়েট পড়াশোনা করার জন্য রয়েছে সুনামধন্য সকল এবং আন্তর্জাতিক রেংকিং সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বছর প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ যায় পড়াশোনা করার জন্য। এই দেশ যেমন সকল দিক থেকে উন্নত ঠিক তেমনভাবে শিক্ষার দিক থেকেও রয়েছে বেশ এগিয়ে। নিরাপত্তার সঙ্গে আধুনিক পড়াশোনা করা যায় যার কারণে এ দেশে পাড়ি জমানোর আগ্রহ দেখা যায় তাদের সবচেয়ে বেশি। এখন কথা হচ্ছে আপনারা দেশে বসে থেকে কোন দালাল কিংবা এজেন্সি ছাড়া কিভাবে খুব সহজে স্কলারশিপ খুঁজে পাবেন।
প্রথমে টার্গেট রাখতে হবে আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে আগ্রহী। তবে আপনার একটি বিষয়ের লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনাকে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে রাখতে হবে। কারণ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করে রাখলে কিংবা খেল রাখলে যে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপনি ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একটি বিষয় নজর রাখতে হবে। যদি আপনার পারিবারিক অবস্থা তেমন ভালো না হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ফুলফান্ডেড স্কলার্শিপ গুলো দেখতে হবে। কারণ তা না হলে যদি আপনি হাফ ফার্মগেটিভ স্কলারশিপ গুলো পেয়ে যান সে ক্ষেত্রে খরচ হয়ে যাবে অনেক ব্যয়বহুল। তাই অবশ্যই এই ফুল ফান্ডেড স্কলার্শিপের জন্য আবেদন করবেন।
Best Scholarship List in USA
আপনারা উপরে যে ওয়েবসাইট দেখতেছেন কিংবা সাইটে লিংক দেওয়া হয়েছে সে সাইট গুলোতে দেখে আপনারা স্কলারশিপের তালিকা দেখতে পারবেন। যদি আপনি আন্ডার গ্রাজুয়েট এর স্কলারশিপ দেখতে চান তাহলে আন্ডার গ্রাজুয়েট সিলেক্ট করতে হবে। যদি গ্রেজুয়েটের স্কলারশিপ দেখতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে গ্যাজুয়েট ফিল্টার করে তারপরে এখান থেকে তালিকা দেখে নেবেন। আমেরিকার স্কলারশিপ খুঁজে পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। আর এই বিষয়টি হচ্ছে দেশ ফিল্টার করা। তাহলে আপনারা এখান থেকে শুধু আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্কলারশিপ গুলো সামনে দেখতে পারবেন।
এখানে দেখা যাবে ভর্তি যোগ্যতা এবং ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট সকল যোগ্যতা গুলো। তারপর আপনারা এখানে আবেদনের লিংক পাবেন নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে এবং তথ্য দিয়ে এখানে আবেদন করবেন। আবেদন করার পর আপনাদেরকে দেওয়া হবে একটি ফলাফল। যদি ফলাফলে আপনারা উত্তীর্ণ হন তাহলে আপনাদেরকে একটি এডুকেশন পারমিট দেওয়া হবে। তার বিপরীতে আপনারা ভিসার জন্য আবেদন করবেন এবং পাসপোর্ট ও অন্যান্য বিষয়গুলো দিয়ে এদেশে ভ্রমণ করতে সক্ষম হবেন।