বাংলাদেশ ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বয়স্ক ভাতার আবেদন ও টাকা দেখার নিয়ম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / ৩৪ বার পড়া হয়েছে

বয়স্ক ভাতা কবে দিবে

স্বামী নিগৃহীত বিধবা এবং বয়স্ক নারীদের ভাতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে বয়স্ক ভাতার আবেদন অনলাইন পদ্ধত নিয়ে আজকে আলোচনা করব। বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে এর জন্য অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করা যায়। ভাতার অর্থ পেতে আগ্রহী পুরুষ প্রার্থীদের জন্য ৬৫ বছর বয়স ও মহিলাদের ক্ষেত্রে বয়স অবশ্যই সর্বনিম্ন ৬২ বছর হতে হবে।

অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

এই সেবা প্রাপ্তির লক্ষ্যে অবশ্যই প্রার্থীর নিম্নোক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

• জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড
• বিধবা নারীদের ক্ষেত্রে স্বামীর মৃত্যুর সনদ
• স্বামী পরিত্যাক্তা হলে তার প্রত্যয়ন পত্র
• সচল নগদ নাম্বার (মোবাইল ব্যাংকিং)

বয়স্ক ভাতার আবেদন অনলাইন

এখন প্রায় সকল সরকারি সেবার সমূহ ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়। তাইতো ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কেন্দ্র অথবা কম্পিউটারের দোকান থেকেই ভাতার অর্থের জন্য আবেদন করা যাবে।

অনলাইনে আবেদন করার ঠিকানা: dss.bhata.gov.bd/online-application

উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নাম, ঠিকানা, নগদ নাম্বার জাতীয় পরিচয় পত্র ইত্যাদি তথ্য পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। একই সাথে প্রার্থীর ছবি এবং সিগনেচারও আপলোড করতে হবে। তাইতো প্রয়োজনীয় বিষয়াদি আগে থেকেই এটি করে রাখা ভালো।

বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য প্রার্থীর যোগ্যতা এবং অযোগ্যতা

বাংলাদেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সামাজিক উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা বিধানের জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমনকি পারিবারিক এবং সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে তাদের মনোবল জোরদার করণের অন্যতম লক্ষ্য এই বয়স্ক ভাতা। একই সাথে এটি বৃদ্ধ কালীন সময়ে চিকিৎসা এবং পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিত করে। তবে এই ভাতা পাওয়ার জন্য তার থেকে অবশ্যই কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

• বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে
• সর্বোচ্চ বয়স্ক ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে
• শারীরিকভাবে অক্ষম বা কর্মক্ষম ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে
• আর্থ সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করা হবে
• ভূমিহীন ব্যক্তিরা অগ্রাধিকার পাবে

• আবেদনকারীদের সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থায়ী নাগরিক হতে হবে
• বার্ষিক ইনকাম ১০,০০০ টাকার নিচে হতে হবে

যদি কোন প্রার্থী ইতিমধ্য সরকারি কর্মচারী হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং পেনশন সুবিধা ভোগ করছেন তারা এই বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে পারবেন না। এমনকি অন্যান্য সরকারি অনুদান ভাতা যেমন ভিজিডি কার্ড ইত্যাদি গ্রহণ করলেও তিনি বয়স্ক ভাতার অযোগ্য বলা বিবেচিত হবেন।

এছাড়াও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিষয় কমিটির মাধ্যমে বিবেচনা করা হবে।

বয়স্ক ভাতা আর টাকা কবে দেবে

চলতি বছরের ভাতা টাকা ইতিমধ্য প্রদান করা শুরু হয়েছে। যারা আবেদন করেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত টাকা পাননি তারা ধৈর্য ধরুন। একই সাথে এটি নিশ্চিত করুন যে আপনার দেওয়ার নগদ নাম্বারটি সচল রয়েছে এবং নাম্বারটি ঠিক রয়েছে। এর কারণ হচ্ছে এই ভাতাটি আবেদনকারীর নগদ মোবাইল নম্বরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতকিছুর পরেও যদি টাকা না আসে তাহলে ইউনিয়ন সেবা কেন্দ্রে অথবা সমাজসেবা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে তথ্যগুলো যাচাই করতে পারবেন। ভাতা মূলত প্রতিমাসে ৬০০ টাকা হিসেবে তিন মাস পর অথবা ছয় মাস পর পর মোবাইলের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।

বয়স্ক ভাতার জন্য বয়স কত লাগে

আমি ইতিমধ্য উল্লেখ করেছি যে পুরুষ প্রার্থীদের জন্য সর্বনিম্ন ৬৫ এবং মহিলা প্রার্থীর জন্য সর্বনিম্ন ৬২ বছর প্রয়োজন হয়।

আবার অনেকেই জানতে চান বয়স্ক ভাতা আবেদন ফরম কোথায় পাবেন। এটি আপনারা ইউনিয়ন সেবা কেন্দ্র অথবা সমাজসেবার অফিসে যোগাযোগ করে নিতে পারবেন। অথবা নিম্নে উল্লেখ করা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেও এদের ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে পারবেন।

বয়স্ক ভাতার আবেদন ফরম পেতে এখানে চাপ দিন।

বয়স্ক ভাতার টাকা দেখার নিয়ম

যেহেতু এটি নগদ একাউন্টের মাধ্যমে প্রদান করা হয়ে থাকে তাই নগদের ব্যালেন্স চেক করলেই আপনি টাকার পরিমাণ দেখতে পারবেন। এর জন্য আপনার যে নগদ নাম্বারে টাকা আসে সেই নাম্বার হতে নিম্নোক্ত ধাপ অনুসরণ করে ডায়াল করে বয়স্ক ভাতা টাকা দেখতে পারবেন।

• সর্বপ্রথম মোবাইলের ডায়াল পার্টি ওপেন করুন
* ১৬৭# ডায়াল করুন
• মাই নগদ (My Nagad) অপশনটি নির্বাচন করুন (এর জন্য ডায়াল অপশন থেকে ৭ লিখে সেন্ড করুন)
• ব্যালেন্স অর্থাৎ একাউন্ট চেক করার জন্য এক লিখে সেন্ড করুন।

সর্বশেষভাবে আপনার নগদ একাউন্টের পিন নম্বরটি লিখে সেন্ড করলেই আপনি জানতে পারবেন অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে কিংবা ভাতার টাকা অ্যাকাউন্টের যুক্ত হয়েছে কিনা।

আবার যাদের স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তারা সহজেই মাইনর অ্যাপটি ডাউনলোড করে সেখানে লগইন করে বয়স্ক ভাতার টাকা যাচাই করতে পারবেন।

বয়স্ক ভাতার আবেদন করার নিয়ম খুবই সহজ। তবে আবেদনটি করতে অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বয়স্ক ভাতার আবেদন ও টাকা দেখার নিয়ম

আপডেট সময় : ০৪:২০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

স্বামী নিগৃহীত বিধবা এবং বয়স্ক নারীদের ভাতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে বয়স্ক ভাতার আবেদন অনলাইন পদ্ধত নিয়ে আজকে আলোচনা করব। বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে এর জন্য অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করা যায়। ভাতার অর্থ পেতে আগ্রহী পুরুষ প্রার্থীদের জন্য ৬৫ বছর বয়স ও মহিলাদের ক্ষেত্রে বয়স অবশ্যই সর্বনিম্ন ৬২ বছর হতে হবে।

অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

এই সেবা প্রাপ্তির লক্ষ্যে অবশ্যই প্রার্থীর নিম্নোক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

• জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড
• বিধবা নারীদের ক্ষেত্রে স্বামীর মৃত্যুর সনদ
• স্বামী পরিত্যাক্তা হলে তার প্রত্যয়ন পত্র
• সচল নগদ নাম্বার (মোবাইল ব্যাংকিং)

বয়স্ক ভাতার আবেদন অনলাইন

এখন প্রায় সকল সরকারি সেবার সমূহ ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়। তাইতো ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কেন্দ্র অথবা কম্পিউটারের দোকান থেকেই ভাতার অর্থের জন্য আবেদন করা যাবে।

অনলাইনে আবেদন করার ঠিকানা: dss.bhata.gov.bd/online-application

উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নাম, ঠিকানা, নগদ নাম্বার জাতীয় পরিচয় পত্র ইত্যাদি তথ্য পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। একই সাথে প্রার্থীর ছবি এবং সিগনেচারও আপলোড করতে হবে। তাইতো প্রয়োজনীয় বিষয়াদি আগে থেকেই এটি করে রাখা ভালো।

বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য প্রার্থীর যোগ্যতা এবং অযোগ্যতা

বাংলাদেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সামাজিক উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা বিধানের জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমনকি পারিবারিক এবং সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে তাদের মনোবল জোরদার করণের অন্যতম লক্ষ্য এই বয়স্ক ভাতা। একই সাথে এটি বৃদ্ধ কালীন সময়ে চিকিৎসা এবং পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিত করে। তবে এই ভাতা পাওয়ার জন্য তার থেকে অবশ্যই কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

• বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে
• সর্বোচ্চ বয়স্ক ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে
• শারীরিকভাবে অক্ষম বা কর্মক্ষম ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে
• আর্থ সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করা হবে
• ভূমিহীন ব্যক্তিরা অগ্রাধিকার পাবে

• আবেদনকারীদের সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থায়ী নাগরিক হতে হবে
• বার্ষিক ইনকাম ১০,০০০ টাকার নিচে হতে হবে

যদি কোন প্রার্থী ইতিমধ্য সরকারি কর্মচারী হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং পেনশন সুবিধা ভোগ করছেন তারা এই বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে পারবেন না। এমনকি অন্যান্য সরকারি অনুদান ভাতা যেমন ভিজিডি কার্ড ইত্যাদি গ্রহণ করলেও তিনি বয়স্ক ভাতার অযোগ্য বলা বিবেচিত হবেন।

এছাড়াও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিষয় কমিটির মাধ্যমে বিবেচনা করা হবে।

বয়স্ক ভাতা আর টাকা কবে দেবে

চলতি বছরের ভাতা টাকা ইতিমধ্য প্রদান করা শুরু হয়েছে। যারা আবেদন করেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত টাকা পাননি তারা ধৈর্য ধরুন। একই সাথে এটি নিশ্চিত করুন যে আপনার দেওয়ার নগদ নাম্বারটি সচল রয়েছে এবং নাম্বারটি ঠিক রয়েছে। এর কারণ হচ্ছে এই ভাতাটি আবেদনকারীর নগদ মোবাইল নম্বরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতকিছুর পরেও যদি টাকা না আসে তাহলে ইউনিয়ন সেবা কেন্দ্রে অথবা সমাজসেবা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে তথ্যগুলো যাচাই করতে পারবেন। ভাতা মূলত প্রতিমাসে ৬০০ টাকা হিসেবে তিন মাস পর অথবা ছয় মাস পর পর মোবাইলের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।

বয়স্ক ভাতার জন্য বয়স কত লাগে

আমি ইতিমধ্য উল্লেখ করেছি যে পুরুষ প্রার্থীদের জন্য সর্বনিম্ন ৬৫ এবং মহিলা প্রার্থীর জন্য সর্বনিম্ন ৬২ বছর প্রয়োজন হয়।

আবার অনেকেই জানতে চান বয়স্ক ভাতা আবেদন ফরম কোথায় পাবেন। এটি আপনারা ইউনিয়ন সেবা কেন্দ্র অথবা সমাজসেবার অফিসে যোগাযোগ করে নিতে পারবেন। অথবা নিম্নে উল্লেখ করা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেও এদের ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে পারবেন।

বয়স্ক ভাতার আবেদন ফরম পেতে এখানে চাপ দিন।

বয়স্ক ভাতার টাকা দেখার নিয়ম

যেহেতু এটি নগদ একাউন্টের মাধ্যমে প্রদান করা হয়ে থাকে তাই নগদের ব্যালেন্স চেক করলেই আপনি টাকার পরিমাণ দেখতে পারবেন। এর জন্য আপনার যে নগদ নাম্বারে টাকা আসে সেই নাম্বার হতে নিম্নোক্ত ধাপ অনুসরণ করে ডায়াল করে বয়স্ক ভাতা টাকা দেখতে পারবেন।

• সর্বপ্রথম মোবাইলের ডায়াল পার্টি ওপেন করুন
* ১৬৭# ডায়াল করুন
• মাই নগদ (My Nagad) অপশনটি নির্বাচন করুন (এর জন্য ডায়াল অপশন থেকে ৭ লিখে সেন্ড করুন)
• ব্যালেন্স অর্থাৎ একাউন্ট চেক করার জন্য এক লিখে সেন্ড করুন।

সর্বশেষভাবে আপনার নগদ একাউন্টের পিন নম্বরটি লিখে সেন্ড করলেই আপনি জানতে পারবেন অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে কিংবা ভাতার টাকা অ্যাকাউন্টের যুক্ত হয়েছে কিনা।

আবার যাদের স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তারা সহজেই মাইনর অ্যাপটি ডাউনলোড করে সেখানে লগইন করে বয়স্ক ভাতার টাকা যাচাই করতে পারবেন।

বয়স্ক ভাতার আবেদন করার নিয়ম খুবই সহজ। তবে আবেদনটি করতে অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হবে।