কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাপনায় আজকের আমাদের এই প্রতিবেদনে থাকবে চাকরির বাজারে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা। কারণ বর্তমান সময়ে এ ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আজকের এই সম্পূর্ণ প্রতিবেদন আলোচনা করা হবে Digital Marketing পদ্ধতি সম্পর্কে। যাবতীয় সকল তথ্যগুলো জানতে পারবেন বিশেষ করে যারা নতুন পার্টি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে কম আইডিয়া রয়েছে তাদের জন্য আমাদের প্রতিবেদনটি হবে একদম সহায়ক।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি

আমরা এর চাহিদা সম্পর্কে জানার পূর্বে জানবো মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কিসের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে এমন এক ধরনের পদ্ধতি যা ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কিংবা টুলস এর মাধ্যমে মার্কেটিং করা হয়ে থাকে। আমরা সাধারণত যে সকল প্রোডাক্টের প্রমোশন কিংবা প্রচার-প্রচারণা করা হয়ে থাকে সেগুলোকে বলে থাকে মার্কেটিং বা মার্কেটিং পদ্ধতি। আমরা সাধারণত এগুলো ফিজিক্যাল মার্কেটিং বা ম্যানুয়াল মার্কেটিং সবচেয়ে বেশি দেখেছি। আপনি হয়তো খেয়াল করেছেন যে বাইরে বিলবোর্ডে কিংবা বড় দোকানে ছবি আকারে বিভিন্ন পণ্যের প্রচার প্রচারণা করা হয়ে থাকে। আর এই সকল প্রচার প্রচারণা কে বলা হয়ে থাকে মার্কেটিং যা দ্বারা ওই কোম্পানির পণ্য বা সেবা প্রচার-প্রচারণা করে তাদের উৎপাদন ও সেলস বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে।

এই ম্যানুয়াল পদ্ধতি ছাড়া অনলাইনেও এখন মার্কেটিং করা সম্ভব। আর এই অনলাইন অর্থাৎ ইন্টারনেটে বিভিন্ন ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে মার্কেটিং ভাব প্রোডাক্ট এর প্রচার প্রচারণাকে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। যতদিন যাচ্ছে তত এগিয়ে যাচ্ছে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবহার এবং চাহিদা।

চাকরি বাজারের ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা

এখন মার্কেটিং জগতে প্রায় বিশাল জায়গা দখল করে রেখেছে ডিজিটাল মার্কেটিং। যেমন বয়স কত বছর আগে বাংলাদেশে ম্যানুয়াল মার্কেটিং এর চাহিদার যেমন ব্যাপক ছিল ঠিক তেমনভাবে এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় কয়েক গুণ। ধরতে গেলে এখন ম্যানুয়াল মার্কেটিং এর চাইতে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ এই ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ভিডিও প্ল্যাটফর্ম মার্কেটিং এবং সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং সহ আরো নানা ধরনের মার্কেটিং পদ্ধতি গুলো। আর এখানে প্রচুর মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। তা বলে এই না যে ফিজিক্যাল মার্কেটিং এর চাহিদা কমে যাচ্ছে। বর্তমানে ফিজিক্যাল মার্কেটিং ওরা ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এমনকি ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু তুলনামূলকভাবে বেশি মার্কেটিং থাকবে অনলাইন ভিত্তিক অর্থাৎ ডিজিটাল পদ্ধতিতে যার কারণে প্রচুর কর্মসংস্থান এখন নিয়োগ দিচ্ছে অফিসগুলো।

ফ্রিল্যান্সার হিসেবে

বর্তমানে যারা এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেট রয়েছে অর্থাৎ মার্কেটিং ম্যানেজার রয়েছে। অধিকাংশই ফ্রিল্যান্সিং করে থাকে অনলাইনের মাধ্যমে। কারণ অনলাইনের মাধ্যমে করলে তারা সাধারণ স্যালারি তুলনায় বেশি স্যালারি পায় এবং একসাথে অনেকগুলো কাজ করার সুবিধা থাকে। আপুয়ার কেমন ফাইবার সহ বড় বড় ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইট গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ডিজিটাল মার্কেটের কে হায়ার করা হয়ে থাকে এবং চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু এখানে অবশ্যই আপনাদেরকে দক্ষতা দেখাতে হবে এবং প্রতিযোগিতার তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকতে হবে। যত বেশি ইস্কিল ডেভেলপমেন্ট করবেন তত বেশি এখানে আপনারা এগিয়ে থাকবেন।

বিভিন্ন অফিস আদালতে

এখন বিভিন্ন প্রাইভেট সেক্টরে অর্থাৎ ধরতে গেলে প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিজিটাল মার্কেটারদেরকে হাড় করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশের ডিজিটাল মার্কেটের সংখ্যা পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকলেও কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ডিজিটাল মার্কেটের সংখ্যা খুব কম। মানে তারা অর্থাৎ ইস্কিল ডেভেলপমেন্ট না করে অনেকে ডিজিটাল মার্কেটর হয়ে যান। যেমন তাদের মধ্যে শুধুমাত্র একটি কিংবা দুইটি স্কেল থাকে আর বাকিগুলো থাকে না যার কারণে অনেক প্লাটফর্মে এখনো প্রকৃত ডিজিটাল মার্কেটার পাচ্ছেন না। যদি আপনি এ বিষয়ে দক্ষ হতে পারেন তাহলে এখানে আপনার ব্যাপক চাকরির সুযোগ সুবিধা হয়ে থাকবে।

এই আর্টিকেলে চাকরিবাজারে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা সম্পর্কে আশা করা যাচ্ছে সম্পূর্ণ ধারণা পাচ্ছেন। আমরা খুব শীঘ্রই আরো বিভিন্ন বিষয়গুলো দিয়ে হাজির হবো যাতে করে আপনারা নিজেদেরকে ক্যারিয়ার আরো ভালো করতে পারেন।