মাইগ্রেন সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়

- আপডেট সময় : ১২:৪০:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
- / ২০ বার পড়া হয়েছে
বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশ মানুষের রয়েছে মাইগ্রেন সমস্যা। মাইগ্রেন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় চাই জানতে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। কারণ এই সমস্যায় অতিষ্ঠ হয়ে মানুষজন এখন পাগল প্রায়। যতদিন যায় যদি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ গ্রহণ না করা হয় ততই বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এক পর্যায়ে চরম রূপ এতটাই চলে যায় যে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পাগল প্রায় হয়ে যায়। যাদের এই সমস্যা শুরু হচ্ছে কিংবা ভয়াবহ অবস্থায় রূপ নিতে চলেছে তাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি হবে অত্যন্ত প্রাথমিক কার্যকরী। মাধ্যমে এই মাইগ্রেন সমস্যা সমাধান করার প্রথম ধাপ অতিক্রম করে অনেকাংশই সমাধান করতে সক্ষম হবেন।
মাইগ্রেন সমস্যা কি?
মাইগ্রেন হচ্ছে মূলত ইংরেজি শব্দ যার বাংলা শব্দ হচ্ছে মাথা ব্যাথা। আর বর্তমান সময়ে এই মাইগ্রেন সমস্যা বেশি পরিচিত লাভ করেছে এবং মানুষের মুখে মুখে ব্যবহার হচ্ছে। অনেকেই বলে থাকেন এই সমস্যা শুধু একদিকে সৃষ্টি হয় কিন্তু বর্তমান সময়ে এবং বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গিয়েছে এটি মাথায় দুই পাশ থেকে সৃষ্টি হতে পারে এবং হয়ে থাকে। অনেকেই আবার জানতে চান মাইগ্রেন কেন হয়ে থাকে এবং এই সমস্যা সৃষ্টি হয় কিভাবে আর বেশি হয়ে থাকে। এই সমস্যা সৃষ্টি হয় বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যাদের ওজন বেশি তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে, অতিরিক্ত বেশি খাবার খেলে, গ্যাস্ট্রিক সমস্যার কারণে, এলোমেলো দৈনন্দিন জীবনের রুটিন, খাবার থেকে, আলো, বাতাস এবং শব্দ থেকেও এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
তবে আলো, বাতাস, শব্দ যাদের মাইগ্রেন সমস্যা রয়েছে তাদের এই সমস্যা বৃদ্ধি করে থাকে। আর অনেক সময় এটি মাইগ্রেন সৃষ্টিকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করে। যাদের মাইগ্রেন সমস্যা রয়েছে তাদের এ সকল বিষয়গুলো পরিহার অথবা দূরে থাকা প্রয়োজন। তবে যাই হোক এখন আমরা এর প্রাথমিক কিছু চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করব যার মাধ্যমে আপনার এই সমস্যাগুলো সমাধান করার একটি উপায় খুঁজে পেতে পারে। তাহলে চলুন এখন আমরা এখান থেকে জেনে নেই কিভাবে আপনারা এই সমস্যার সমাধান করতেন।
মাইগ্রেন সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়
আমরা এই সমস্যার সমাধান সম্পর্কে জানার পূর্বে এর কিছু লক্ষণ জানবো। যাদের প্রথমত এ অবস্থা সৃষ্টি হয় তাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না যে এই অবস্থা কেন হয়ে থাকে এবং কি অনুভূত হলে মাইগ্রেন হয়েছে সেটি বুঝা যায়। চলুন এখন আমরা এই বিষয়গুলোর নিচে থেকে তালিকা অনুসারে দেখে নেই।
একতরফা প্রচন্ড মাথা ব্যাথা।
ধীরগতি থেকে তীব্র মাথা ব্যথার সৃষ্টি হবে এবং দুর্বল হয়ে যাবে।
নড়াচড়া করার সময় প্রচন্ড মাথা ব্যথার সৃষ্টি হবে।
সিডি কিংবা অন্য কিছুতে ওঠার নামার সময় মাথা ব্যাথা করবে।
অতি আলো বা কম আলো কিংবা বেশি শব্দে গেলে মাথাব্যথা সৃষ্টি হবে।
বমি বমি ভাব সৃষ্টি হতে থাকবে।
ঘাড় ব্যাথা করবে এবং শক্ত অনুভূত হতে থাকবে।
বিষন্নতা এবং অস্বস্তি লাগছে শুরু করবে।
মাইগ্রেন সমস্যার সমাধান
প্রথমত আমরা আলোচনা করব কিভাবে এই ঘরোয়া উপায়ে মাইগ্রেন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে। কারণ ওষুধ খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতি করে তাই প্রাকৃতিক উপায় যদি এর সমস্যার সমাধান করা যায় তাহলে সেটি সবচেয়ে ভালো। আসুন এখন আমরা এই ব্যাপারে নিচে থেকে বিস্তারিতভাবে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করি।
খাওয়ার সময়সূচি নিয়মিত করা
আমাদের দেশে এই সমস্যা হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে নিয়মিত খাবার গ্রহণ না করা। যেমন অনেকে সকালের খাবার দেরি করে খায় এইভাবে চলতে থাকতে রাতের খাবারও অনেক দেরি করে খাওয়া হয়ে থাকে। যার কারণে শরীর এবং মাথার উপরে আলাদা একটি চাপ সৃষ্টি হয় তাই নিয়মিত খাবার গ্রহণ করা সবচেয়ে ভালো। তাই নিয়মিত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
খাদ্যাভাস পরিবর্তন
যাদের যে সকল খাবারে মাইগ্রেন সমস্যা সৃষ্টি হয় সেগুলো খাবার পরিহার করতে হবে। বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যার কারণে এই সমস্যা বেশি সৃষ্টি হয় আমাদের দেশের অনেকের। তাই এই ধরনের খাবারগুলো পরিহার করতে হবে অথবা কম খেতে হবে। আর ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার থেকে এই সমস্যা সৃষ্টি হয় বেশি। তাই বেশি বেশি শাকসবজি এবং কোন ফ্যাট যুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম
একটি জরিপে দেখা গিয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশের অধিক মাইগ্রেন সমস্যা সৃষ্টি হয় পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের অভাবের কারণে। সাধারণত একজন সুস্থ মানুষের যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে বেশ কয়েকদিন ঘুম না হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে মাথা ব্যথার সৃষ্টি হয়। তাই যতটা সম্ভব প্রাপ্ত পরিমাণে ঘুম দেওয়া দরকার। এতে করে সুস্থ সবল থাকতে পারবেন তারা।
শারীরিক পরিশ্রম করা এবং পানি পান করা
শরীর যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং নানা ধরনের শারীরিক পরিশ্রমগুলো করতে হবে। আমরা যারা স্বেচ্ছা সফলভাবে বেঁচে থাকতে চাই তাদের সবার জন্য শারীরিক পরিশ্রম করা প্রয়োজন। শারীরিক পরিশ্রম করলে শরীরের ভিতরে অতিরিক্ত কোন চর্বি জমতে পারে না এবং নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। আর প্রচুর পরিশ্রম করলে শরীর ক্লান্ত থাকে আর এই সময় ঘুম বেশি হয়। যার কারণে মাইগ্রেন হওয়ার সমস্যা একবারেই থাকে না। অন্যদিকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে নার্ভ গুলো অনেক ভালোভাবে কাজ করে এবং কোন ধরনের দেখার সৃষ্টি হয় না।
ডাক্তারের পরামর্শ যদি উপরের কোন প্রাকৃতিক উপায়ে মাইগ্রেন সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে না পান। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নিকটস্থ অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। তাদের দেওয়ার নিয়ম অনুসারে ওষুধ সেবন করবেন কিভাবে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তাহলে সুস্থ সকল থাকবেন আপনারা।