পিএসসি বৃত্তি পরীক্ষা চালু হচ্ছে

- আপডেট সময় : ০৬:২৬:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
- / ১০ বার পড়া হয়েছে
আবারো শুরু হতে যাচ্ছে পিএসসি বৃত্তি পরীক্ষা। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পরীক্ষা না অনুষ্ঠিত হলেও আবার নতুন করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই পরীক্ষাটি। অর্থাৎ বন্ধ করার পর আবার নতুন করে চালু হচ্ছে। আর এটি কতটা নিশ্চিত এবং খবর কতটা সত্য তা জানতে হলে আমাদের সম্পন্ন প্রতিবেদন জানতে হবে আপনাদেরকে। তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনারা অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে করবেন বিশেষ করে যারা পরীক্ষার্থী কিংবা অভিভাবক হয়েছেন তাদের এখনই সচেতন হওয়া দরকার। কারণ আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এই পরীক্ষা চালু হবে বিশেষ করে যারা পাথমিক বিদ্যালয় পড়াশোনা করছে তাদের জন্য বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এই প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েই চালু করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা সার্বজনীন সুযোগ-সুবিধা। যার কারণে সারা বাংলাদেশ জুড়ে তৈরি করা হয়েছে প্রায় কয়েক হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে সম্পূর্ণ ফ্রিতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করার সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। যাতে করে আমাদের দেশের মানুষ সাক্ষরতার হারের দিক থেকে বৃদ্ধি পায় এবং একই সঙ্গে ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগেন এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারেন। আর আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা ক্রমশ উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে থাকেন। কেননা নিজেদেরকে সাফল্যের সিঁড়িতে উঠে নেওয়ার জন্য আপনার চেষ্টা করে থাকেন।
তবে আপনি যতই পড়াশোনা করুন কিংবা উঁচু পর্যায় পর্যন্ত চলে যান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে প্রাথমিক বিদ্যালয় পাড়ি দিতে হবে। শুধুমাত্র পিএসসি পরীক্ষার্থী সাধারণ সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য বা অনুন্নত শিক্ষার্থীদের জন্য বিষয়টা তা নয়। এটি হচ্ছে একটি সার্বজনীন যার সবার এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এবং যারা পঞ্চম শ্রেণী অর্থাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উঠবেন তাদের অবশ্যই এই পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে যেতে হবে।
পিএসসি বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৬
এই ধরনের অর্থাৎ psc পরীক্ষা শুরু হয় ২০০৯ সাল থেকে। এর আগে পঞ্চম শ্রেণীতে পাশ করার পর শিক্ষার্থীরা যারা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতেন তারা আলাদাভাবে রীতি পরীক্ষার জন্য অংশগ্রহণ করতেন। কিন্তু ২০০৯ সালে তাদের বোর্ড পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সকল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করতে হয় এবং যারা ভাল ফলাফল করে কিংবা নির্দিষ্ট নম্বরে ভিতরে থাকে তাদেরকে সাধারণ গ্রেড এবং ট্যালেন্টপুলের ভিত্তি দেওয়া হয়। এটির দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চলমান থাকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত। কিন্তু ২০২০ সালে সারা বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী দেখা যায়। যার কারণে দুই বছর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এরপর ২০২২ সালে এর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও পুনরায় আবার বন্ধ হয়ে যায় অর্থাৎ পেয়েছে পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়।
এরপর আবার নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে যে খুব শীঘ্রই চালু হতে যাচ্ছে এই পিএসসি পরীক্ষা। কারণ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এর উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পদ্দার জানিয়েছেন আমরা যৌক্তিক দাবিকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকি। আর মন্ত্রণালয়তা কার্যকর করার চেষ্টা করে থাকেন। আর একই সঙ্গে শূন্য পথ পূরণের চেষ্টা করছি। তিনি আরো জানিয়েছেন যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে এবং বৃত্তি চালু করা হতে যাচ্ছে। তবে কোন বছর থেকে এই পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তা এখন পর্যন্ত পরিষ্কার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ২০২৬ সাল থেকে পিএসসি বৃত্তি পরীক্ষা চালু হতে যাচ্ছে।
আর এদিকে অভিভাবকরা এ বিষয়টিকে অনেক পজিটিভ ভাবে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আরো ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারবে। এতে করে তাদের বনে প্রতিযোগিতা বন আসবে এবং পূর্বের মতো আবারও তারা পড়াশোনায় ফিরে আসতে পারবেন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এতে করে সকলে পড়াশোনা ভালোভাবে করবে এবং প্রাথমিক শিক্ষাবিদ্যালয়ে তারা আরো ভালো ফলাফল করবেন। মূলত সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করার কারণে এই পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে অনেকেই।