যে সকল বাংলাদেশের মানুষ কিংবা অন্য দেশের মানুষকে কাতারে ভ্রমণ করতে চান। তাদের কাতারের ভ্রমণ করার পূর্বে তাদের একটু কমন প্রশ্ন থাকে কাতার ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা হয়। কারণ কাতারে ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে যে বিষয়টি লক্ষ্য করতে হয় সেটি হচ্ছে এখানকার টাকার মান কি রকম। শুধুমাত্র কাতারের জন্য যে এই বিষয়টি নজর দিতে হবে বা খেয়াল রাখতে হবে বিষয়টি এমন নয়। আপনি পৃথিবীর যেকোনো দেশে কর্মসংস্থানের জন্য যান না কেন সেই দেশের টাকার মান অর্থাৎ ওই দেশের মুদ্রার মান সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা সাধারণত যে দেশের মুদ্রার মান যত বেশি হবে তত ওই দেশে উন্নত হয় এবং ওই দেশের কর্মসংস্থানে যোগদান করলে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব হয়। ঠিক তেমনভাবে এখানে ভ্রমণ করলে কি পরিমাণ লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং কি কি হতে পারে তাই নিয়েই আমাদের এই আর্টিকেল।

মুদ্রার মান জানার পূর্বে আমরা কাতার সম্পর্কে অনেক কিছু তথ্য জানবো। এই সকল তথ্য গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে কাতার অবস্থান করছে পারস্য উপসাগরের তীরে। এই দেশটির দক্ষিণ দিকে রয়েছে সৌদি আরব এবং তার পশ্চিমে রয়েছে অন্যতম একটি দেশ বাহারাইন। আরব উপদ্বীপ এর মত এখানে রয়েছে একটি উত্তপ্ত ও শুষ্ক মরু এলাকা। জলাশয়ে ধরতে গেলে অনেকটাই নেই এছাড়াও উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংখ্যা সামান্য পরিমাণ। অর্থাৎ উত্তপ্ত তাপমাত্রার দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে এই কাতার। তাই আপনাকে এখানে ভ্রমন করার পূর্বে এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে আপনি এই পরিবেশে কাজ করতে পারবেন কিনা। তবে অধিকাংশ অফিস আদালতে রয়েছে এয়ারকন্ডিশনের ব্যবস্থাপনা যেখানে গরম এর পরিমাণ কম থাকে। কিন্তু আপনি যদি ফিল্ডে কাজ করে থাকেন কিংবা বাইরে কাজ করেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। তা না হলে আপনারা প্রচুর টাকা খরচ করে এখানে ভ্রমণ করলেও পরবর্তী সময় টিকে রাখতে পারবেন না নিজেকে। এতে করে আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না ঠিক তেমনভাবে পরিবার কেউ ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলবেন। এখানে সচরাচর এভারেজ তাপমাত্রা থাকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অনেক সময় এ তাপমাত্রা কম বা বেশি হতে পারে।

কাতার ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা

এছাড়াও এদের সম্পর্কে আরো কিছু বিষয় জানতে হবে আপনাদেরকে। কাতারের মোট আয়তন হচ্ছে ১১ হাজার ৫৮১ কিলোমিটার। এখানে বসবাস করে ২০২৩ সালের বিশ্ব ব্যাংক হিসাব অনুসারে ২.৬৫ মিলিয়ন মানুষ। অর্থাৎ কাতার একটি ছোট আয়তনের দেশ এবং এখানে জনসংখ্যা ও কম। কিন্তু কাতারে রয়েছে বিশাল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাপনা এবং বিশাল একটি জিডিপির দেশ। অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী জিডিপির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি হচ্ছে। আর শুধু তাই নয় ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৩ এ এটি সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে এর প্রভাব। কারণ ফিফা বিশ্বকাপে যতগুলো আয়োজন হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল আয়োজন হয়েছে এই কাতারে। যার কারণে এখনো পর্যন্ত এটি বেশ স্মরণীয় এবং মনোমুগ্ধকর হয়ে আছে।

তবে যাই হোক এখন আমরা সরাসরি মূল আলোচনার ভিতরে প্রবেশ করব এখন। তার আগে জেনে নেই কাতারের মুদ্রার নাম হচ্ছে কাতারে রিয়াল। আবার একে বলা হয়ে থাকে দিরহাম। বাংলাদেশের টাকার মানের তুলনায় কাতারের টাকার মান অর্থাৎ মুদ্রার মান অনেক বেশি কত টাকা বেশি এখন আমরা সে বিষয়টি জানবো। কাতারের এক টাকা সমান সমান বাংলাদেশের ৩৩ টাকা। অর্থাৎ আপনাকে যদি কাতারের এক টাকা দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশে সেটি পাবেন ৩৩ টাকা কিংবা এ থেকে কিছু পরিমাণ বেশি। কেননা বিভিন্ন সময় অর্থনৈতিক অবস্থা এবং বিভিন্ন কারণে এই টাকার মানের পার্থক্য হয়। অর্থাৎ উভয় দেশের মুদ্রার মানের পরিবর্তনের কারণে এরকম বেশি হতে পারে। এখানে যদি আপনাকে ১০০ টাকা বেতন দেওয়া হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার বেতন আসবে প্রায় ৩৩২০ টাকার মত। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এখানে ভালো পরিমান অর্থের বেতন হবে। এখানে অবশ্যই আপনাদেরকে ১০০০ দিলাম সর্বনিম্ন বেতনের চাকরি করতে হবে। তাহলে আপনি এখানে ভালোভাবে চলতে পারবেন। দেশে যদি বেশি বেশি টাকা পাঠাতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে এখানে ১৫০০ দিরহাম কিংবা তার বেশি পরিমাণ অর্থ পেতে হবে অর্থাৎ এই পরিমাণ দিরহামের বেতন পেতে হবে। তবে কাজ জানা থাকলে কিংবা ড্রাইভিং জানা থাকলে অনায়াসে ১২০০ দিরহাম থেকে ২০০০ দিরহাম পর্যন্ত আয় করা যায়।

আপনারা যারা কাতারে ভ্রমণ করতে আগ্রহী কাতার ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা এ বিষয়ে জানার পাশাপাশি অবশ্যই আরো কিছু বিষয় জানবেন। আর যতটা সম্ভব এই দেশে ডেলিভারির কাজ কিংবা গাড়ি চালানোর কাজের জন্য যাবেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার আয়ের পরিমাণ আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। সেখানে চাকরির পাশাপাশি আরো অন্যান্য কাজ করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।