কম বেশী সবাই এখন আমরা বিকাশ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই বিকাশ ব্যবহারে অনেকেই জানেন না যে বিকাশ সেন্ড মানির খরচ কত হয়ে থাকে। কারণ এ লেনদেন করতে গিয়ে অনেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় প্রথম দিকেই। আর আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি বিকাশে সেন্ট মানের চার্জ এবং ক্যাশ আউট চার্জসহ আরো অন্যান্য সকল চার্জের তথ্যগুলো তুলে ধরা হবে। যাতে করে একজন পাঠক এই প্রতিবেদন থেকে অর্থাৎ আর্টিকেলটি থেকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিকাশ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যগুলো বুঝতে পারেন।

মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে জনপ্রিয় একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে বিকাশ। যা ব্রাক ব্যাংক দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। সারা বাংলাদেশ জুড়ে এমনকি বিভিন্ন শহরের প্রতিটি গলি থেকে শুরু করে গ্রামের প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় বিকাশ ব্যবহারকারীরা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে প্রায় প্রতিটি গ্রামের বিভিন্ন ধরনের যেখান থেকে সাধারণ গ্রাহকরা টাকা উঠাতে পারেন। ধরতে গেলে বাংলাদেশের জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে শীর্ষ ৩ মধ্যে এর অবস্থান। তাদের এক তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে তাদের মোট ব্যবহারকারী রয়েছে সারা বাংলাদেশের প্রায় ১০ লক্ষের বেশি। আর এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে ভোটার আইডি কার্ড এবং যার ভোটার আইডি কার্ড তার উপস্থিতি। কারণ তার এখানে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন রয়েছে যার মাধ্যমে তার ভেরিফিকেশন করা হয়ে থাকে।

তবে ছাত্রছাত্রীদেরকে এখানে একাউন্ট করার জন্য শুধু দেওয়া হয়ে থাকে। এর জন্য তারা জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলেও জন্ম নিবন্ধন দিয়ে এখানে ভেরিফাই করতে পারেন। আর অনেক সময় একটা শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড দিয়ে এখানে ভেরিফাই করা যায়। তবে এখানে সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে একাউন্ট তৈরি করা তাহলে পরবর্তীতে ভোটার আইডি কার্ড একাউন্ট তৈরি করতে পারবে এবং কোন ধরনের সমস্যা হবে না।

বিকাশ সেন্ড মানি খরচ কত হয়

এই মোবাইল ব্যাংকিং এর অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম অর্থাৎ ব্যবহারকারী হচ্ছে এই সেন্ড মানি। যদিও এখানে ক্যাশ আউট করা যায় এবং পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে। তবে এখানে আজকে শুধু এই সেন্ড অনেক সম্পর্কে জানব। আর কিভাবে এটি করতে হয় সেটি প্রথমে জানানোর চেষ্টা করব। বিকাশে যদি আপনারা সেন্ড মানি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার পার্সোনাল নাম্বার থেকে পার্সোনাল নাম্বারে টাকা পাঠাতে হবে। এজন্য উভয়ের পার্সোনাল নম্বর থাকতে হবে। এজন্য প্রথমে বিকাশ অ্যাপ এ প্রবেশ করতে হবে আপনাদের। এই অ্যাপটিতে প্রবেশ করার পর সেখানে সেন্ড মানি নামের একটি অপশন দেখা যাবে। এখন এই অপশনটিতে প্রবেশ করে আপনি জার্নি করে টাকা পাঠাতে চাচ্ছেন তার নাম্বার দিতে হবে। এরপর দিতে হবে আপনি কত টাকা পাঠাতে চাচ্ছেন সেটি। এরপর আপনি কোন ক্যাটাগরিতে পাঠাতে চাচ্ছেন সেটাও এখানে সেট করে দিতে পারবেন। যেমন আপনি যদি ঈদের সালামি পাঠাতে চান সেটিও দিতে পারবেন অথবা যদি কোন গিফট কার্ড হিসেবে দিতে চান সেটাও এখানে যুক্ত করে তারপর দিতে পারবেন।

এরপর বিকাশের পিন নম্বর দিয়ে কনফার্ম করলে টাকা চলে যাবে। এখন আসি এখানে টাকা পাঠাতে কত টাকা খরচ হতে পারে। এখানে টাকা পাঠাতে হলে প্রতিবার টাকা পাঠানোর জন্য ৫ টাকা কেটে নেওয়া হবে চার্জ হিসেবে। সেটি হোক দশ টাকা কিংবা ১০ হাজার টাকা। এর জন্য এই পাঁচ টাকা চার্জ করা হয়ে থাকে। তবে যদি প্রিয় নম্বর করা থাকে তাহলে সেই নম্বরে কোন ধরনের অতিরিক্ত কোন চার্জ কাটবে না অর্থাৎ পাঁচ টাকাও কাটবে না সম্পূর্ণ ফ্রিতে আপনারা টাকা লেনদেন করতে পারবেন। আর এই লেনদেন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনারা যেগুলোতে বেশি লেনদেন করেন সেক্ষেত্রে প্রিয় নম্বর করে নিবেন। এই ছিল বিকাশ সেন্ড মানি করতে কত টাকা খরচ হয়ে থাকে।

আমরা বিকাশের আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে হাজির হব নেক্সট আর্টিকেলগুলোতে। সেখানে উল্লেখ করা হবে কিভাবে খুব দ্রুত ক্যাশ আউট করবেন এবং স্বল্প খরচের ক্যাশ আউট করতে পারবেন। এছাড়াও বিকাশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল কিংবা গ্যাস বিল কিভাবে দেওয়া হয় সে বিষয়টি।

আরোঃ সত্যিই কি ফেসবুক থেকে ইনকাম