বাংলাদেশ ০২:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাণিজ্য শুল্ক কি ও কত প্রকার | রপ্তানি শুল্ক কাকে বলে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

All About trade tariff and duty

কোন দেশে সকল পণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। অর্থাৎ বেঁচে থাকা, জীবনধারণ এবং নানা প্রয়োজনে অন্যান্য দেশে পণ্য বিক্রি করতে পাঠানো হয় এবং অপর দেশ হতে বিভিন্ন পণ্য আনা হয়। আর এই প্রক্রিয়া অর্থাৎ আমদানি ও রপ্তানি করা পণ্যের উপর সরকার যে ট্যাক্স ধার্য করে সেটিকেই বলা হয় বাণিজ্য শুল্ক। এটি আমদানিকৃত পণ্যের উপরে হতে পারে আবার রপ্তানিকৃত পন্যের উপরও হতে পারে।

বাণিজ্য শুল্ক কি সেটা নিশ্চয়ই আপনারা এখন বুঝতে পেরেছেন। যখন একটি দেশ হতে অপর একটি দেশে পণ্য বিক্রির জন্য পাঠানো হয় সেটাকে বলা হয় রপ্তানি। আর এই রপ্তানির মাধ্যমে একটি দেশ প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে। আবার অপর দেশ হতে যখন কোন পণ্য ক্রয় করে নিজের দেশে আনা হয় তখন সেটাকে বলা হয় আমদানি। আমদানির মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনীতি হতে সম্পদ অন্য দেশে চলে যায়।

রপ্তানি শুল্ক কাকে বলে (Export Duty Kake Bole)

উপরে আমি ইতিমধ্য আলোচনা করেছি কোন ধরনের বাণিজ্যের প্রক্রিয়াকে রপ্তানি বলা হয়। যদি কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানি বিদেশে পণ্য বিক্রি করতে চায় তাহলে সে প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে বিক্রয়কৃত অর্থের উপর নির্ধারিত পরিমাণ ট্যাক্স সরকারকে প্রদান করা হয়। আর এই ট্যাক্সকেই বলা হয় রপ্তানি শুল্ক।

বাণিজ্য শুল্ক কাকে বলে (Trade Tariff Kake Bole)

আমদানি এবং রপ্তানি উভয় প্রক্রিয়া উপর ধার্যকৃত শুল্কই হচ্ছে বাণিজ্য সংখ্যা।

বাণিজ্য শুল্ক কত প্রকার ও কি কি

সাধারণভাবে বাণিজ্য শুল্ক মূলত ২ প্রকার। তবে এর সাথে সম্পর্কিত আরো কয়েকটি ক্যাটাগরি রয়েছে। নিম্নে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১. আমদানি শুল্ক বা Import Duty

এটি সম্পর্কে হয়তোবা বইয়ে পড়েছেন বা খবরে শুনেছেন। উপরে আমি ইতিমধ্য উল্লেখ করেছি যে আমদানি পণ্যের উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্যাক্সই হচ্ছে আমদানি শুল্ক। এমনকি বিদেশে ঘুরতে গিয়ে কেউ যদি পণ্য কিনে দেশে আনতে চায় তাহলেও এয়ারপোর্টে বা কাস্টমসে তাকে এই পণ্যের জন্য ট্যাক্স প্রদান করতে হয়। তবে এই ট্যাক্সের পরিমাণ বিভিন্নভাবে নির্ধারিত হতে পারে। যেমনঃ

• মূল্য ভিত্তিক ট্যাক্স Ad Velorem Duty: অনেক সময় মূল্যের নির্ভর করে শুল্ক ধার্য করা হয়। এক্ষেত্রে কোন পণ্যের নির্ধারিত মূল্যের উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ হারে শুল্ক ধার্য করা হয়ে থাকে। যেমন প্রতি ১০০ টাকা মূল্যের জন্য শুল্ক দিতে হবে ১০ টাকা করে।

• পরিমাণ ভিত্তিক ট্যাক্স: যখন বাইরে দেশ থেকে কোন পণ্য দেশের অভ্যন্তরে আনা হয় তখন সে পণ্যের পরিমাণ বা ইউনিটের উপরও ট্যাক্স চার্জ করা হয়। যেমন প্রতি কিছু পণ্যের জন্য ৫ টাকা করে ট্যাক্স প্রদান করতে হবে।

• কম্পাউন্ড ডিউটি: নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। পরিমাণ অথবা মূল্যের উপর যে কোনোভাবেই নির্দিষ্ট পরিমাণ ধার্য করা হয়।

• অতিরিক্ত ট্যাক্স (Additional Duty): সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি কিংবা দেশীয় কোন শিল্পকে সুরক্ষা প্রদান করার জন্য অতিরিক্ত ট্যাক্স ধার্য করে থাকে। কারণ বিদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানির কারণে অনেক সময় দেশীয় পণ্য বাজার হারাতে শুরু করে। তাই দেশীয় পণ্যকে সুরক্ষা প্রদান করতে এই অতিরিক্ত ট্যাক্স অনেক সময় ধার্য করা হয়। এটিকে এন্টি ডাম্পিং শুল্কও বলা হয়।

এছাড়া আরো রয়েছে মূল্য সংযোজন কর ইত্যাদি।

২। এক্সপোর্ট ডিউটি বা রপ্তানি শুরু কর

বাণিজ্য শুল্ক কাকে বলে সেটি বুঝলে আপনারা এই অংশটি ও বুঝতে পারবেন। কারণ বাণিজ্য শুল্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটি। যখন দেশ হতে পণ্য অন্য দেশে পাঠানো হয় তখন সরকারের পক্ষ থেকে যেটা কার্যকর হয় সেটাকে বলা হয় এক্সপোর্ট ডিউটি। এটিও ইমপোর্ট ডিউটির মতো পরিমাণ ভিত্তিক মূল্য ভিত্তিক ধার্য করা হতে পারে।

তবে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশগুলোতে সাধারণত এক্সপোর্ট ডিউটির তেমন কোনো প্রচলন নেই। এর কারণ হচ্ছে সকল দেশের চায় রপ্তানি বৃদ্ধি করতে। কারণ যত বেশি পূণ্য রপ্তানি হবে দেশে অর্থনীতিতে তত বেশি অর্থ প্রবেশ করবে। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রপ্তানি শুল্ক সাধারণত মওকুফ করে দেওয়া হয়।

বাণিজ্য সংখ্যা কত প্রকার সেটিও আপনারা এখন জেনে গিয়েছেন। তবে আপনি কি জানেন এই ধরনের ট্যাক্স বা শুল্কের উদ্দেশ্য কি? চলুন জেনে নেই।

বাণিজ্য শুল্কের উদ্দেশ্য কি কি

প্রতিটি দেশের সরকারের দেশ পরিচালনার জন্য প্রয়োজন বিশাল পরিমাণ অর্থের। আর এই অর্থের একটি বড় অংশ তো আসে বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স হতে। আর যেই খাতগুলোর মধ্যে বাণিজ্য শুরু অন্যতম।

যে দেশ নিজেরা যত বেশি পূর্ণ উৎপাদনে সক্রিয় সেই দেশ তত বেশি উন্নত হতে থাকে। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমদানির জন্য দেশীয় পণ্য অনেক সময় মুখ থুবড়ে পড়ে। যার কারণে বিদেশি পণ্যনির উৎসাহিত করার জন্য অনেক সময় বাণিজ্য শিল্প আরোপ করা হয়।

বিদেশেতে আমদানিকৃত বিলাসী কিংবা ইত্যাদি ভোগপণ্যের জন্য অনেক সময় দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ বাইরে যেতে সাহায্য করে। যার কারণে চাহিদা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার অনেক সময় বাণিজ্য শিল্প আরোপ করে। এতে করে আমদানিকেতনের দাম বৃদ্ধি পায় এবং সে পণ্যের চাহিদা ও দেশের বাজারে কমে যায়।

অনেক রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক কারণেও নির্দিষ্ট কোন দেশ হতে আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য বাণিজ্য শিল্প নীতি বাস্তবায়ন করা সরকার।

পরিশেষে বলতে পারি অর্থনীতিতে বাণিজ্য শিল্প কত প্রকার এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমাদের জানা জরুরী। কারণ এটি যে কোন রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নীতির গুরুত্বপূর্ণ একটি পাঠ্য। এর মাধ্যমে একইভাবে যেমন সরকার রাজস্ব বৃদ্ধি করতে পারে অন্যদিকে দেশীয় শিল্পকেও অনেক বেশি পরিমাণে উৎসাহিত করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বাণিজ্য শুল্ক কি ও কত প্রকার | রপ্তানি শুল্ক কাকে বলে

আপডেট সময় : ১০:২৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

কোন দেশে সকল পণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। অর্থাৎ বেঁচে থাকা, জীবনধারণ এবং নানা প্রয়োজনে অন্যান্য দেশে পণ্য বিক্রি করতে পাঠানো হয় এবং অপর দেশ হতে বিভিন্ন পণ্য আনা হয়। আর এই প্রক্রিয়া অর্থাৎ আমদানি ও রপ্তানি করা পণ্যের উপর সরকার যে ট্যাক্স ধার্য করে সেটিকেই বলা হয় বাণিজ্য শুল্ক। এটি আমদানিকৃত পণ্যের উপরে হতে পারে আবার রপ্তানিকৃত পন্যের উপরও হতে পারে।

বাণিজ্য শুল্ক কি সেটা নিশ্চয়ই আপনারা এখন বুঝতে পেরেছেন। যখন একটি দেশ হতে অপর একটি দেশে পণ্য বিক্রির জন্য পাঠানো হয় সেটাকে বলা হয় রপ্তানি। আর এই রপ্তানির মাধ্যমে একটি দেশ প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে। আবার অপর দেশ হতে যখন কোন পণ্য ক্রয় করে নিজের দেশে আনা হয় তখন সেটাকে বলা হয় আমদানি। আমদানির মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনীতি হতে সম্পদ অন্য দেশে চলে যায়।

রপ্তানি শুল্ক কাকে বলে (Export Duty Kake Bole)

উপরে আমি ইতিমধ্য আলোচনা করেছি কোন ধরনের বাণিজ্যের প্রক্রিয়াকে রপ্তানি বলা হয়। যদি কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানি বিদেশে পণ্য বিক্রি করতে চায় তাহলে সে প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে বিক্রয়কৃত অর্থের উপর নির্ধারিত পরিমাণ ট্যাক্স সরকারকে প্রদান করা হয়। আর এই ট্যাক্সকেই বলা হয় রপ্তানি শুল্ক।

বাণিজ্য শুল্ক কাকে বলে (Trade Tariff Kake Bole)

আমদানি এবং রপ্তানি উভয় প্রক্রিয়া উপর ধার্যকৃত শুল্কই হচ্ছে বাণিজ্য সংখ্যা।

বাণিজ্য শুল্ক কত প্রকার ও কি কি

সাধারণভাবে বাণিজ্য শুল্ক মূলত ২ প্রকার। তবে এর সাথে সম্পর্কিত আরো কয়েকটি ক্যাটাগরি রয়েছে। নিম্নে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১. আমদানি শুল্ক বা Import Duty

এটি সম্পর্কে হয়তোবা বইয়ে পড়েছেন বা খবরে শুনেছেন। উপরে আমি ইতিমধ্য উল্লেখ করেছি যে আমদানি পণ্যের উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্যাক্সই হচ্ছে আমদানি শুল্ক। এমনকি বিদেশে ঘুরতে গিয়ে কেউ যদি পণ্য কিনে দেশে আনতে চায় তাহলেও এয়ারপোর্টে বা কাস্টমসে তাকে এই পণ্যের জন্য ট্যাক্স প্রদান করতে হয়। তবে এই ট্যাক্সের পরিমাণ বিভিন্নভাবে নির্ধারিত হতে পারে। যেমনঃ

• মূল্য ভিত্তিক ট্যাক্স Ad Velorem Duty: অনেক সময় মূল্যের নির্ভর করে শুল্ক ধার্য করা হয়। এক্ষেত্রে কোন পণ্যের নির্ধারিত মূল্যের উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ হারে শুল্ক ধার্য করা হয়ে থাকে। যেমন প্রতি ১০০ টাকা মূল্যের জন্য শুল্ক দিতে হবে ১০ টাকা করে।

• পরিমাণ ভিত্তিক ট্যাক্স: যখন বাইরে দেশ থেকে কোন পণ্য দেশের অভ্যন্তরে আনা হয় তখন সে পণ্যের পরিমাণ বা ইউনিটের উপরও ট্যাক্স চার্জ করা হয়। যেমন প্রতি কিছু পণ্যের জন্য ৫ টাকা করে ট্যাক্স প্রদান করতে হবে।

• কম্পাউন্ড ডিউটি: নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। পরিমাণ অথবা মূল্যের উপর যে কোনোভাবেই নির্দিষ্ট পরিমাণ ধার্য করা হয়।

• অতিরিক্ত ট্যাক্স (Additional Duty): সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি কিংবা দেশীয় কোন শিল্পকে সুরক্ষা প্রদান করার জন্য অতিরিক্ত ট্যাক্স ধার্য করে থাকে। কারণ বিদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানির কারণে অনেক সময় দেশীয় পণ্য বাজার হারাতে শুরু করে। তাই দেশীয় পণ্যকে সুরক্ষা প্রদান করতে এই অতিরিক্ত ট্যাক্স অনেক সময় ধার্য করা হয়। এটিকে এন্টি ডাম্পিং শুল্কও বলা হয়।

এছাড়া আরো রয়েছে মূল্য সংযোজন কর ইত্যাদি।

২। এক্সপোর্ট ডিউটি বা রপ্তানি শুরু কর

বাণিজ্য শুল্ক কাকে বলে সেটি বুঝলে আপনারা এই অংশটি ও বুঝতে পারবেন। কারণ বাণিজ্য শুল্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটি। যখন দেশ হতে পণ্য অন্য দেশে পাঠানো হয় তখন সরকারের পক্ষ থেকে যেটা কার্যকর হয় সেটাকে বলা হয় এক্সপোর্ট ডিউটি। এটিও ইমপোর্ট ডিউটির মতো পরিমাণ ভিত্তিক মূল্য ভিত্তিক ধার্য করা হতে পারে।

তবে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশগুলোতে সাধারণত এক্সপোর্ট ডিউটির তেমন কোনো প্রচলন নেই। এর কারণ হচ্ছে সকল দেশের চায় রপ্তানি বৃদ্ধি করতে। কারণ যত বেশি পূণ্য রপ্তানি হবে দেশে অর্থনীতিতে তত বেশি অর্থ প্রবেশ করবে। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রপ্তানি শুল্ক সাধারণত মওকুফ করে দেওয়া হয়।

বাণিজ্য সংখ্যা কত প্রকার সেটিও আপনারা এখন জেনে গিয়েছেন। তবে আপনি কি জানেন এই ধরনের ট্যাক্স বা শুল্কের উদ্দেশ্য কি? চলুন জেনে নেই।

বাণিজ্য শুল্কের উদ্দেশ্য কি কি

প্রতিটি দেশের সরকারের দেশ পরিচালনার জন্য প্রয়োজন বিশাল পরিমাণ অর্থের। আর এই অর্থের একটি বড় অংশ তো আসে বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স হতে। আর যেই খাতগুলোর মধ্যে বাণিজ্য শুরু অন্যতম।

যে দেশ নিজেরা যত বেশি পূর্ণ উৎপাদনে সক্রিয় সেই দেশ তত বেশি উন্নত হতে থাকে। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমদানির জন্য দেশীয় পণ্য অনেক সময় মুখ থুবড়ে পড়ে। যার কারণে বিদেশি পণ্যনির উৎসাহিত করার জন্য অনেক সময় বাণিজ্য শিল্প আরোপ করা হয়।

বিদেশেতে আমদানিকৃত বিলাসী কিংবা ইত্যাদি ভোগপণ্যের জন্য অনেক সময় দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ বাইরে যেতে সাহায্য করে। যার কারণে চাহিদা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার অনেক সময় বাণিজ্য শিল্প আরোপ করে। এতে করে আমদানিকেতনের দাম বৃদ্ধি পায় এবং সে পণ্যের চাহিদা ও দেশের বাজারে কমে যায়।

অনেক রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক কারণেও নির্দিষ্ট কোন দেশ হতে আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য বাণিজ্য শিল্প নীতি বাস্তবায়ন করা সরকার।

পরিশেষে বলতে পারি অর্থনীতিতে বাণিজ্য শিল্প কত প্রকার এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমাদের জানা জরুরী। কারণ এটি যে কোন রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নীতির গুরুত্বপূর্ণ একটি পাঠ্য। এর মাধ্যমে একইভাবে যেমন সরকার রাজস্ব বৃদ্ধি করতে পারে অন্যদিকে দেশীয় শিল্পকেও অনেক বেশি পরিমাণে উৎসাহিত করতে পারে।