আপনি কি পুরাতন ল্যাপটপের ব্যবসা করতে চাচ্ছেন? কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন কিংবা কিভাবে লাভ করতে পারবেন জানেন না। তাহলে আমাদের ‌Old Laptop Business Idea প্রতিবেদন থেকে আপনারা সকল বিষয়গুলো জানতে পারবেন। কিভাবে শুরু করবেন এবং কোথায় গিয়ে বিক্রি করবেন সহ যাবতীয় তথ্যগুলো। এখন বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাবো আলোচনার মূল প্রসঙ্গে।

আমরা এই বিজনেস আইডিয়া জানার পূর্বে আমরা জানবো এর মার্কেট সম্পর্কে। এর মার্কেট কতটুকু এবং বিস্তৃতি রয়েছে আমাদের দেশে সে বিষয় নিয়ে। ইন্টারনেট নির্ভর এই যুগে সবার হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। অনেকেই বলে থাকেন যে কম্পিউটারের যাবতীয় কাজগুলো এখন অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে। যদিও কথাটি সত্য কিন্তু পুরোপুরি শর্ত নয় এটি হচ্ছে আংশিক বিষয়। কম্পিউটারের সাহায্যে যে কাজগুলো করা যায় সকল কাজগুলোই সেগুলো মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব নয়। যেগুলো করা সম্ভব তা ল্যাপটপের তুলনায় অনেক বেশি সময় লেগেছে এবং জটিল প্রক্রিয়ায় করতে হয়। কারণ আপনি একটি মোবাইলের সাহায্যে রিপোর্ট করবেন ৩০ মিনিটে আর সে রিপোর্টটি আপনি যদি ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে করতে চান সে ক্ষেত্রে সময় লাগবে প্রায় অর্ধেক সময়।

এইভাবে দেখা যায় যে প্রায় অনেক কাজগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে এবং দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে ডাটা এনালাইসিস সহ অন্যান্য কাজগুলো করা যায় এবং ভালো পারফরমেন্সের সাথে করা সম্ভব হয়। তাই এখন অনেকেই শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বড় বড় ল্যাপটপ ব্যবহার করতেছেন।

পুরাতন ল্যাপটপ বিজনেস আইডিয়া

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে টেকনোলজির উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বড় বড় চাকরির প্ল্যাটফর্ম এবং এনালাইসিস গুলোতেও এখন কম্পিউটার ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি বিষয় খেয়াল করবো যে কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ এর মধ্যে পার্থক্য। মূলকভাবে ল্যাপটপের দাম একটু বেশি হলেও এর সুবিধা রয়েছে। কেননা এগুলো শক্তিশালী হয়ে থাকে এবং যেকোনো জায়গায় নিয়ে কাজ করা সম্ভব। আর এর মাধ্যমে থাকে আরও উন্নত মানের প্রযুক্তি গুলো।

এখানে তুলনামূলকভাবে ল্যাপটপের দাম বেশি নতুন গুলোর যার কারণে অনেকের কেনার সাধ্যের বাইরে চলে যায়। বিশেষ করে যারা শিক্ষার্থী রয়েছে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে পড়ে কিংবা অনার্স লেভেলে পড়াশোনা করেন তাদের জন্য এটি কিনা অনেকটা দুষ্কর। বর্তমানে সময় অনলাইন থেকে মানুষ কত টাকা আয় করে নিচ্ছে। আর যারা ফ্রেন্ডশিপ করতে চান তাদের অবশ্যই প্রয়োজন হবে কে ভালো মানের ডিভাইস অর্থাৎ ল্যাপটপ। প্রথম অবস্থায় সবার ভালো ল্যাপটপ কেন সম্ভব হয় না যার কারণে অনেকে ছিটকে পড়ে এখান থেকে।

আপনারা যদি এই অডিয়েন্সদেরকে টার্গেট করে এখানে করতে পারেন তাহলে আপনার ব্যবসার সবচেয়ে দ্রুত এগিয়ে যাবে। কারণ তাদের বাজেটের মধ্যে ভালো মানের ল্যাপটপ যদি দিতে পারেন তাহলে তারা অবশ্যই কিনবে এবং এটি বর্তমান সময়ে মার্কেটপ্লেসের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। এখন কথা হচ্ছে এগুলো কোথায় থেকে নিবেন। এগুলো ল্যাপটপ সাধারণত দেশের বাইরে থেকে আনা হয়। বিশেষ করে চীন, কোরিয়া, দুবাই, সৌদি আরব এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে এই ব্যবহৃত ল্যাপটপগুলো পাইকারি দামে আনা হয়। সেখান থেকে আপনারা ২০ হাজার টাকার মধ্যে অনেক ভালো ভালো ল্যাপটপ পাবেন। আর এই ল্যাপটপ গুলো বাংলাদেশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা এমনকি চল্লিশ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। তবে আপনি যদি সীমিত পরিসরে লাভ করে লিখতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার দ্রুত গতিতে ব্যবসার অগ্রসর ঘটবে।

তবে আপনার মার্কেটে এনালাইসিস করে দেখতে পেরেছি বর্তমান সময়ে পুরাতন ল্যাপটপের বিজনেস সবচেয়ে ভালো। আর এই ধরনের বিশ্বাস করে অনেকেই এগিয়ে গিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে এক্ষেত্রে আপনার বিজনেসের ভিত্তি করতে হবে কারণ প্রথম অবস্থায় শুরু করতে গেলে প্রায় ৬ থেকে ১০ লক্ষ মধ্যে আপনার মূলধন থাকতে হবে।