অনলাইন থেকে এখন কমবেশি সবাই আয় করতে চায়। যারা ইনকাম করতে চায় তাদের কমন একটি প্রশ্ন হচ্ছে যে ফেসবুক রিলস থেকে কত টাকা আয় করা সম্ভব। কারণ এটি সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি আয় করার একটি উৎস বর্তমান সময়ে যার কারণে এই প্রশ্ন নিয়েই থাকে সবার জানার আগ্রহ। আপনাদের এই আগ্রহ থেকে আমাদের আজকের এই কনটেন্ট।

বর্তমান সময়ের যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন তাদের ৭০ শতাংশের বেশি হচ্ছে ফেসবুক ব্যবহারকারী। যদিও আরো অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকেন তবে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম সবাই ব্যবহার করেন। আর এখানে মানুষ সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়ে থাকেন। দেখা কে এসেছে দিতে অবসর সকলের প্রায় অর্ধেকের বেশি সময় এখানে কাটাতে পছন্দ করেন তারা। তবে যাই হোক আজকে আমরা জানাবো কিভাবে আপনারা এখান থেকে অর্থাৎ আপনার এই অবসর সময়কে কাজে লাগিয়েও বাড়তি ইনকাম করতে পারেন।

বিশেষ করে যারা চাকরি পাচ্ছেন না কিংবা চাকরি পাশাপাশি পার্টটাইম কিছু করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এটি দুর্দান্ত সুযোগ। কেননা এখান থেকে অনেকে ১০০০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রত্যেক মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করতে পেরেছেন। আজকে আমরা এই গাইড লাইন দিব যে কিভাবে আয় করতে পারবেন এবং কত টাকা পর্যন্ত আয় হতে পারে সে বিষয় সম্পর্কে। যারা শিক্ষার্থী রয়েছে এবং ভবিষ্যতে অনলাইনে কেউ কেরিয়ার করতে চান তাদের জন্য এটি অবশ্যই দুর্দান্ত সুযোগ। আর যারা কনটেন্ট ক্রিয়েটর রয়েছেন কিংবা কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে চান তাদের জন্য রয়েছে এটি সবচেয়ে ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। চলুন তাহলে আমরা কথা না বাড়িয়ে সরাসরি চলে যায় আলোচনার মূল প্রশঙ্কে যেখান থেকে আপনারা জানতে পারবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো।

ফেসবুক রিলস থেকে কত টাকা আয় করা সম্ভব

ফেসবুক ব্যবহার করেন তারা একবার হলেও রিলস দেখেছেন বা নিয়মিত দেখে থাকেন। আর এই সকল ভিডিও দেখে অনেক কিছুই শিখে থাকেন। এখানে নানা ধরনের এবং নানা ক্যাটাগরির এ সকল ভিডিও থাকে। সাধারণত এখানে প্রায় কয়েক শতাধিক ক্যাটাগরির ভিডিও থাকে যা দেখে মানুষজন নানা বিষয়গুলো শিখে থাকেন। সাধারণ লম্বা ভিডিওর তুলনা এই শর্ট ভিডিও অর্থাৎ ভিডিও গুলোতে মানুষ বেশি দেখতে পছন্দ করে থাকেন। যার কারণে এই সকল ভিডিওতে প্রচুর পরিমাণে ভিউ হয়। আপনি হয়তোবা জানেন না এ সকল ভিডিও যারা ছাড়ে তারাও মনিটাইজেশনের মাধ্যমে এখান থেকে কত টাকা আয় করতে পারে।

এখান থেকে আয় করতে হলে অবশ্যই নিয়মিতভাবে এখানে রিলস ভিডিও আপলোড করতে হবে। যেমন ৩০ দিনে কমপক্ষে ৩০ টি কিংবা নিয়মিত আপলোড করতে হবে। এছাড়া সর্বশেষ ৩০ দিনে কমপক্ষে এক লক্ষ ভিউ হতে হবে। এই সকল মনিটাইজেশনের কন্ডিশন পাড়ি করলে এখান থেকে অফিসিয়াল ভাবে আয় করা সম্ভব। এখন চলে যাব আমরা আলোচনার মূল কথার মধ্যে।

এখানে অফিসিয়াল ভাবে আয় করতে গেলে দেখা যায় প্রতি লক্ষ ভিউজে সাধারণত এক ডলার থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত আয় হয়ে থাকে। তবে এটি নির্ভর করে স্বাধীনতা ভিডিওর কোয়ালিটি এবং কনটেন্ট এর উপর। এছাড়াও অডিয়েন্সের উপর নির্ভর করে। তাই কোয়ালিটি ফুল করতে দেখে না বেশি বেশি আপলোড করতে হবে। পূর্বে বেশি পরিমাণ আয় হলেও সাম্প্রতিক সময়ে এই আয়ের পরিমাণ আরো কমে গিয়েছে।

অফিসিয়াল পদ্ধতি ছাড়াও মার্কেটিং বা স্পন্সারশীপ নিয়েও কাজ করতে পারেন আপনারা। এইভাবে ফেসবুক রিলস থেকে কত টাকা আয় করা সম্ভব। তবে তুলাতামূলকভাবে এখন স্পন্সরশিপের মাধ্যমে বেশি আয় করা সম্ভব হচ্ছে। নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করেও এখান থেকে প্রচুর উপার্জন করা যায় বা সার্ভিস বিক্রি করেও উপার্জন করা সম্ভব অনেক বেশি। শীঘ্রই আমরা এখানে এ বিষয় নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করব। কিভাবে রিভিউস আপলোড করতে হয় এবং মার্কেটিং করতে হয় সেই বিষয় নিয়েও।