মোবাইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে সবার ধরতে গেলে একটি কনফিউশন আইফোন নাকি স্যামসাং কোনটি সেরা সেটি নিয়ে। শুধুমাত্র যে বাংলাদেশের মধ্যেই iPhone Vs Samsung which is best কম্পিটিশন কিংবা এ বিষয় নিয়ে সংশয় রয়েছে ব্যাপারটা তেমন নয়। সারা বিশ্ব জুড়ে প্রায় ধরে থাকলে একই সমস্যা। অর্থাৎ যাদের বাজেট বাংলাদেশের টাকার প্রায় ৫০ হাজার টাকার বেশি কিংবা এক লাখ টাকার অধিক তাদেরই এই সমস্যা দেখা যায়। এই বাজেটের মোবাইল কিনতে গেলে মানুষ সাধারণত দুই মডেলের মোবাইল কিনে থাকে। হয় কিনা থাকে iphone না হলে samsung মোবাইল। কেননা বেশি দামের মোবাইলের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স এবং জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই দুইটি ব্র্যান্ড।

পৃথিবীতে প্রায় কয়েক শতাধিক মোবাইলে কোম্পানি বা ব্র্যান্ড রয়েছে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃত বা আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড রয়েছে প্রায় ২০টি মতো। তবে শতাধিক ব্যান্ড কে অতিক্রম করে শীর্ষ পজিশনে জায়গা দখল করে রেখেছে samsung মোবাইল কোম্পানি এবং iphone। samsung কোম্পানির রয়েছে ল্যাপটপ, টিভি এবং ফ্রিজ সহ আরো অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স বিষয়গুলো। অন্যদিকে আইফোনে রয়েছে মোবাইলসহ ল্যাপটপ এবং রিলেটেড এক্সেসরিজ। যারা সেলিব্রেটি রয়েছে এবং বড় বড় টেক জায়ান্ট রয়েছে এক্সপার্টরাও এই দুটি ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল বেশি ব্যবহার করে থাকেন। তবে তাদের মধ্যে সনি মোবাইল বেশি ব্যবহার করা দেখা যায় অনেকের। তবে যেটাই হোক আজকে আমরা এই দুই মোবাইলের জনপ্রিয়তা এবং কেন আপনি কোন মোবাইলটি কিনবেন সেটি তুলে ধরব। যাতে করে আপনাদের এই মোবাইল কেনার মধ্যে কোন ধরনের কনফিউশন না থেকে যায়।

আইফোন নাকি স্যামসাং কোনটি সেরা

যারা আইফোন মোবাইল কিনতে চান কিংবা samsung মোবাইল কিনতে চান এর মধ্যে কনফিউশনে ভুগছেন তারা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত দেখুন। কারণ আর্টিকেলকে পড়লে আপনারা পুরো বিষয়গুলো জানতে পারবেন। একটি অপরটির মোবাইলের সাথে তুলনা করা হচ্ছে যাতে করে আপনারা বুঝতে পারেন এবং কিনতে সক্ষম হোন সঠিকটি।

প্রথমে আমরা চলে যাব সিকিউরিটির বিষয়টি। কারণ যারা এত দামি মোবাইল অর্থাৎ বেশি দাম দিয়ে মোবাইল কিনবে তাদের অবশ্যই সিকিউরিটির ব্যাপার রয়েছে। বর্তমান সময় পর্যন্ত ফোনের প্রাইভেসি কিংবা সিকিউরিটির দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে iphone। এর লক সহজে সারানো যায় না এমনকি এর মধ্যে ভাই*রাসের আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা একদম কম থাকে। শুধু তাই নয় এর মধ্যে এমন ফিচার রয়েছে যেখানে একজন হ্যা%কার কিংবা স্ক্যা%মার সহজে কোন ধরনের এক্সেস নিতে পারবেন না। প্রাইভেসির দিক থেকে যদি আপনারা ভালো মোবাইল নিতে চান তাহলে অবশ্যই এটি নিতে পারেন বা দেখতে পারেন।

হার্ডওয়্যার পারফরমেন্সের দিক থেকে দুটি মোবাইলে প্রায় একই পর্যায়ে রয়েছে। কারণ দুটি মোবাইলেই শক্তিশালী পারফরম্যান্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এখানে মডেল অনুসারে একেক মোবাইলে পারফরমেন্স একই রকম হয়ে থাকে। যদি আপনারা অর্থের সমান ধরেন সে ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে iphone মোবাইল। সিকিউরিটির ও ব্যাপার হয়েছে। samsung মোবাইল এগিয়ে রয়েছে বেশ বেশি। যদি আপনারা দুর্দান্ত সকল গেমসগুলো উপভোগ করতে চান একসঙ্গে মোবাইলে কিংবা ভারী কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে নিতে পারেন স্যামসাং মোবাইল।

অন্যদিকে আইফোন নাকি স্যামসাং কোনটি সেরা যদি ব্যাটারি থেকে হিসাব করেন। সে ক্ষেত্রে সমীকরণ samsung এগিয়ে রয়েছে। কারণ আইফোন ব্যবহারকারীদের অধিকাংশর অভিযোগ তাদের মোবাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণে চার্জ থাকে না। অন্যদিকে স্যামসাং মোবাইলে বেশ ভালো চার্জ ধরতে গেলে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে। এমনকি মোবাইলের বয়স কয়েক বছর হল তাও দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চার্জ থাকে এ সকল ব্র্যান্ডের। অন্যদিকে দীর্ঘ সময় ব্যাটারি পারফরম্যান্সের কারণে একজন ব্যবহারকারী দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন এবং দ্রুত চার্জিং সিস্টেম রয়েছে। কিছু কিছু স্যামসাং মোবাইল এ রয়েছে ওয়ারলেস চার্জিং সিস্টেম।

তবে যদি আপনি এবং দীর্ঘ পারফরমেন্সের জন্য কিনতে চান স্বাভাবিক ব্যবহারের জন্য। তাহলে আপনার জন্য সেরা মোবাইলটি হবে iphone। সকল ধরনের সিকিউরিটি এবং দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারের জন্য এটি পারফেক্ট। হিসাবটা অবশ্যই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। আমরা আশা করছি এখান থেকে জেনে নিলেন আইফোন নাকি স্যামসাং কোনটি সেরা সেই বিষয়ট